Daily Amardesh শনিবার ৬ এপ্রিল ২০১৩, ২৩ চৈত্র ১৪১৯, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৪ হিজরী
ঈমানি দাবিতে ঘোষিত লংমার্চে একদিকে অনুমতি অন্যদিকে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার মোনাফেক ও নাস্তিক সরকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, সারাদেশে বাস ও নৌযান বন্ধ, আলেম-ওলামাদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে ঢাকায় লংমার্চে আসতে বাধা দিচ্ছে সরকার। সরকারের পুলিশ, কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরা এ বাধা সৃষ্টি করছে। ঘাদানিকসহ নাস্তিক দালালদের দিয়ে সরকার ছুটির দিনেও দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন হরতাল ঘোষণা করিয়েছে। সরকারের লোকদের হামলা ও বাধায় ঢাকায় আসতে না পেরে লাখ লাখ তৌহিদি জনতা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান সমাবেশ শুরু করেছে। হেফাজতের ব্যানারে পুরো দেশে এখন নবীপ্রেমীদের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঈমানি দাবি আদায় ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে এ অবস্থান চলবে। শাহবাগের নাস্তিকরা যদি শয়তানি কর্মসূচিতে দেড় মাস অবস্থান নিতে পারে তাহলে আমরা ঈমানি দাবিতে প্রয়োজনে এক বছর অবস্থান নেবো। তারা বলেন, মাও সেতুং নয়, মহানবী (সা.)-এর আদর্শে লংমার্চ করছে হেফাজতে ইসলাম। সব বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে লংমার্চ ও সমাবেশ সফল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে তারা সরকারের উদ্দেশে বলেন, মেহেরবানি করে এতে আর বাধা দেবেন না। অন্যথায় আজকের সমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর লালবাগ মাদরাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা জোনায়েদ বাবু নগরী ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী। এ সময় লংমার্চ নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র ও জুলুম-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে হেফাজতে ইসলাম মহাসচিব বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ১৩ দফা ঈমানি দাবিতে আয়োজিত লংমার্চে সরকার বাধা দেবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সরকার একদিকে অনুমতি দিয়েছে, অন্যদিকে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে। সারাদেশ থেকে ঢাকায় কোনো গাড়ি আসতে দিচ্ছে না। ড্রাইভারদের হুমকি ও গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, বি-বাড়িয়া, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জায়গায় লংমার্চের গাড়িতে বাধা ও হামলা চালানো হয়েছে। চট্টগ্রামের মন্ত্রী হাসান মাহমুদ খন্দকার ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ অনেক মন্ত্রী এই বাধা দিচ্ছেন। এরকম জুলুম-নির্যাতন কখনও দেখা যায়নি। ছুটির দিনে হরতাল ঘোষণা এদেশে নতুন একটি বিষয়। যারা এই হরতাল ডেকেছে তারা ঘাদানিক ও নাস্তিকদের দালাল। সরকারই তাদেরকে সহযোগিতা করে হরতাল ঘোষণা করিয়েছে। এতে তারা সম্পূর্ণ ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের দ্বিমুখী নীতিকে শরিয়তের ভাষায় মোনাফেক বলা হয়। আগামী নির্বাচনে এই মোনাফেক সরকারের বিচার জনগণ করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, সরকার বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব যানচলাচল বন্ধ করে দিলেও তৌহিদি জনতা পায়ে হেঁটে লংমার্চ শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ লাখ লাখ জনতার লংমার্চ ও সমাবেশ হবে। চট্টগ্রামে ৩ লাখ লোকের সমাবেশ ও অবস্থান চলছে। যারা ঢাকায় আসতে পারবে না তাদেরকে আমরা সেখানেই অবস্থান ও সমাবেশ করতে বলেছি। শাহবাগের নাস্তিকরা যদি শয়তানি কর্মসূচিতে দেড় মাস অবস্থান নিতে পারে তাহলে আমরা ঈমানি দাবিতে প্রয়োজনে এক বছর অবস্থান নেবো। পুরো দেশে নবীপ্রেমীদের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাস্তিকদের কারণে আমাদের আন্দোলন স্তব্ধ হবে না।
মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী বলেন, সরকারের লোকেরা আমাদেরকে বলেছিলো জামায়াত-শিবির লংমার্চে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগ আমাদের ওপর আক্রমণ করছে। আমাদের আশঙ্কাই ঠিক হয়েছে। ফেনীতে লংমার্চ বহরে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন ফেরিঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আক্রমণ ও নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও লংমার্চ করতে চাই। এখনও সময় আছে এ সুযোগ দিন। সবাইকে ঢাকায় আসতে দিন। আটককৃতদের মুক্তি দিন। যারা হরতাল অবরোধ দিয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করতে বলুন। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। তিনি গাড়ি মালিকদের হুশিয়ার করে বলেন, লংমার্চের জন্য গাড়ি দেন। নইলে আগামীতে এসব রাস্তায় কোনো গাড়ি চলতে দেবো না। সরকারের মনোভাব দেখে আজকের সমাবেশ থেকে হরতালসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে ওলামার মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, কিশোরগঞ্জ জামেয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার শাহ, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট, কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জাব্বার, মাওলানা তাজুল ইসলাম, সিলেটের মাওলানা জিয়া উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানা, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, খেলাফতে ইসলামের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা লোকমান হাকীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়বে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন মহাসচিব ড. এনামুল হক আযাদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মুফতি মিজানুর রহমান, মুফতি এনামুল হক কাসেমীসহ শতাধিক ওলামায়ে কেরাম।
ঈমানি দাবিতে ঘোষিত লংমার্চে একদিকে অনুমতি অন্যদিকে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার মোনাফেক ও নাস্তিক সরকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, সারাদেশে বাস ও নৌযান বন্ধ, আলেম-ওলামাদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে ঢাকায় লংমার্চে আসতে বাধা দিচ্ছে সরকার। সরকারের পুলিশ, কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরা এ বাধা সৃষ্টি করছে। ঘাদানিকসহ নাস্তিক দালালদের দিয়ে সরকার ছুটির দিনেও দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন হরতাল ঘোষণা করিয়েছে। সরকারের লোকদের হামলা ও বাধায় ঢাকায় আসতে না পেরে লাখ লাখ তৌহিদি জনতা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান সমাবেশ শুরু করেছে। হেফাজতের ব্যানারে পুরো দেশে এখন নবীপ্রেমীদের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঈমানি দাবি আদায় ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে এ অবস্থান চলবে। শাহবাগের নাস্তিকরা যদি শয়তানি কর্মসূচিতে দেড় মাস অবস্থান নিতে পারে তাহলে আমরা ঈমানি দাবিতে প্রয়োজনে এক বছর অবস্থান নেবো। তারা বলেন, মাও সেতুং নয়, মহানবী (সা.)-এর আদর্শে লংমার্চ করছে হেফাজতে ইসলাম। সব বাধা উপেক্ষা করে আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে লংমার্চ ও সমাবেশ সফল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে তারা সরকারের উদ্দেশে বলেন, মেহেরবানি করে এতে আর বাধা দেবেন না। অন্যথায় আজকের সমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর লালবাগ মাদরাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা জোনায়েদ বাবু নগরী ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী। এ সময় লংমার্চ নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র ও জুলুম-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে হেফাজতে ইসলাম মহাসচিব বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ১৩ দফা ঈমানি দাবিতে আয়োজিত লংমার্চে সরকার বাধা দেবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সরকার একদিকে অনুমতি দিয়েছে, অন্যদিকে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করেছে। সারাদেশ থেকে ঢাকায় কোনো গাড়ি আসতে দিচ্ছে না। ড্রাইভারদের হুমকি ও গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, বি-বাড়িয়া, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জায়গায় লংমার্চের গাড়িতে বাধা ও হামলা চালানো হয়েছে। চট্টগ্রামের মন্ত্রী হাসান মাহমুদ খন্দকার ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ অনেক মন্ত্রী এই বাধা দিচ্ছেন। এরকম জুলুম-নির্যাতন কখনও দেখা যায়নি। ছুটির দিনে হরতাল ঘোষণা এদেশে নতুন একটি বিষয়। যারা এই হরতাল ডেকেছে তারা ঘাদানিক ও নাস্তিকদের দালাল। সরকারই তাদেরকে সহযোগিতা করে হরতাল ঘোষণা করিয়েছে। এতে তারা সম্পূর্ণ ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের দ্বিমুখী নীতিকে শরিয়তের ভাষায় মোনাফেক বলা হয়। আগামী নির্বাচনে এই মোনাফেক সরকারের বিচার জনগণ করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, সরকার বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব যানচলাচল বন্ধ করে দিলেও তৌহিদি জনতা পায়ে হেঁটে লংমার্চ শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ লাখ লাখ জনতার লংমার্চ ও সমাবেশ হবে। চট্টগ্রামে ৩ লাখ লোকের সমাবেশ ও অবস্থান চলছে। যারা ঢাকায় আসতে পারবে না তাদেরকে আমরা সেখানেই অবস্থান ও সমাবেশ করতে বলেছি। শাহবাগের নাস্তিকরা যদি শয়তানি কর্মসূচিতে দেড় মাস অবস্থান নিতে পারে তাহলে আমরা ঈমানি দাবিতে প্রয়োজনে এক বছর অবস্থান নেবো। পুরো দেশে নবীপ্রেমীদের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাস্তিকদের কারণে আমাদের আন্দোলন স্তব্ধ হবে না।
মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী বলেন, সরকারের লোকেরা আমাদেরকে বলেছিলো জামায়াত-শিবির লংমার্চে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগ আমাদের ওপর আক্রমণ করছে। আমাদের আশঙ্কাই ঠিক হয়েছে। ফেনীতে লংমার্চ বহরে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন ফেরিঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আক্রমণ ও নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও লংমার্চ করতে চাই। এখনও সময় আছে এ সুযোগ দিন। সবাইকে ঢাকায় আসতে দিন। আটককৃতদের মুক্তি দিন। যারা হরতাল অবরোধ দিয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করতে বলুন। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। তিনি গাড়ি মালিকদের হুশিয়ার করে বলেন, লংমার্চের জন্য গাড়ি দেন। নইলে আগামীতে এসব রাস্তায় কোনো গাড়ি চলতে দেবো না। সরকারের মনোভাব দেখে আজকের সমাবেশ থেকে হরতালসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে ওলামার মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, কিশোরগঞ্জ জামেয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার শাহ, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট, কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জাব্বার, মাওলানা তাজুল ইসলাম, সিলেটের মাওলানা জিয়া উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানা, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, খেলাফতে ইসলামের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা লোকমান হাকীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়বে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন মহাসচিব ড. এনামুল হক আযাদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মুফতি মিজানুর রহমান, মুফতি এনামুল হক কাসেমীসহ শতাধিক ওলামায়ে কেরাম।